Wednesday, April 28, 2010

Obama’s Remarks at Entrepreneurship Summit (Bengali)

হোয়াইট হাউস
তথ্য সচিবের কার্যালয়
অবিলম্বে প্রকাশের জন্য
এপ্রিল ২৬, ২০১০

প্রেসিডেন্টের মন্তব্য
প্রেসিডেন্টের কর্মোদ্যোগবিষয়ক শীর্ষ বৈঠকে

রোনাল্ড রিগ্যান ভবন এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্র
ওয়াশিংটন, ডি.সি.
সন্ধ্যা ৬:০৫ পূর্বাঞ্চলীয় সময়

প্রেসিডেন্টঃ আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। প্রত্যেকেই,দয়া ক’রে আসন গ্রহণ করুন। শুভ সন্ধ্যা,প্রত্যেককে,এবং ওয়াশিংটনে স্বাগতম।

আমার জীবনে,এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে,আমার মহা আনন্দের বিষয় হয়েছে আপনাদের অনেকগুলি দেশ ভ্রমণের, এবং আমি সর্বদাই কৃতজ্ঞ থেকেছি যে উষ্ণতা এবং আতিথেয়তা আপনারা এবং আপনাদের সতীর্থ নাগরিকেরা আমার প্রতি দেখিয়েছেন তার জন্য।আর তাই আজ রাতে,আমি এই ফিরতি আতিথেয়তার সুযোগটি উপভোগ করছি।আপনাদের অনেকের জন্যই, আমি জানি এটা প্রথমবারের মত আমাদের দেশে ভ্রমণ।অতএব ,আমাকে বলতে দিন, মার্কিন জনগনের পক্ষ থেকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্বাগতম। (তুমুল করতালি)

প্রেসিডেন্টের উদ্যোক্তাবিষয়ক শীর্ষ বৈঠকে আপনাদের স্বাগত জানাতে পারাটা হচ্ছে একটা অসাধারণ সুযোগ।এটা হচ্ছে আমার প্রশাসন জুড়ে একটি সমন্বিত প্রচেষ্টা,আর সেজন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই সকল দফতর এবং সংস্থার সকল কঠোর পরিশ্রমী মানুষদের এবং নেতাদের যারা এটাকে সম্ভব করে তুলেছেন,এবং যারা আজ রাত্রে এখানে আছেন।

যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছেন আমাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি, রাষ্ট্রদূত রন্ কার্ক। রন্ কোথায়? এই যে এইখানে সে।(করতালি)আমি বিশেষভাবে দুইটি দফতর এবং নেতাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা এই শীর্ষ বৈঠকের ব্যাপারে নেতৃত্ব দিয়েছেন –বাণিজ্য সচিব গ্যারী লক্ এবং পররাষ্ট্র সচিব হিলারী ক্লিনটন্। দয়া ক’রে তাদেরকে তুমুল করতালি দিয়ে অভিনন্দিত করুন।(তুমুল করতালি)আমাদের সাথে যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসের সদস্যরা যারা প্রতিদিনই কাজ করেন তাদের নির্বাচকমন্ডলীর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বপ্নটি বাস্তবায়নে সাহায্য করতে, এবং যাদের কাহিনীগুলি প্রতিফলিত করে বৈচিত্রতার এবং সমান সুযোগের যা আমরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে সযত্নে লালন করিঃ নাদিয়া ভেলাজ্কুয়েজ্,যিনি হচ্ছেন, প্রসঙ্গত, আমাদের প্রতিনিধি পরিষদের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কমিটির প্রধান। (করতালি)কীথ এলিসন্ আছেন এখানে।(করতালি)এবং আছেন আন্দ্রে কার্সন।(করতালি)

সর্বোপরি,আমি আপনাদের সকলকেই ধন্যবাদ জানাতে চাই এই ঐতিহাসিক ঘটনার অংশ হবার জন্য। আপনারা ভ্রমণ ক’রে এসেছেন সমগ্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকা এবং প্রায় ৬০টি দেশ থেকে, ল্যাতিন আমেরিকা থেকে আফ্রিকা, ইউরোপ থেকে মধ্য এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া হ’য়ে এসেছেন।

আর আপনারা আপনাদের সাথে ব’য়ে নিয়ে এসেছেন দামি পশমী সুতায় অলঙ্কৃত চিত্রিত পৃথিবী’র মহান ঐতিহ্য এবং মহান সংস্কৃতিগুলিকে।নিজেদের মধ্যেই আপনারা বহন করছেন বিভিন্ন বর্ণ এবং মতবাদ,গোষ্ঠী এবং ধর্মের সৌন্দর্যকে। আপনারা স্বাপ্নিক যারা অগ্রপথিক হ’য়ে নূতন শিল্পের এবং তরুন উদ্যোক্তাদের খুঁজছেন একটি ব্যবসা অথবা একটি সম্প্রদায়কে গড়বার জন্য।

তবে আজ আমরা একত্রে এসেছি যা আমরা ভাগ ক’রে নেই সেই কারণে – একটি বিশ্বাস যে আমরা সকলে একত্রে বাঁধা নিশ্চিত কিছু সাধারণ আকাঙ্খা দ্বারা। মর্যাদার সাথে জীবনযাপন করতে। শিক্ষা লাভ করতে।সুস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে। হয়ত একটি ব্যবসার সুচনা করতে, কাউকে কোন রকম উৎকোচ না দিয়ে। মুক্তভাবে কথা বলতে এবং কিভাবে আমরা শাসিত হবো সে বিষয়ে মতামত রাখতে। শান্তিতে ও নিরাপত্তার মধ্যে থাকতে এবং আমাদের সন্তানদের একটি চমৎকার ভবিষ্যত দিতে।

কিন্তু আমরা আরো এই কারণে এখানে এসেছি আমরা জানি যে বছর বছর পেরিয়ে এসে, এত কিছু আমাদের মধ্যে সাধারণ থাকা সত্বেও, সারা পৃথিবীজুড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মুসলিম সম্প্রদায় বার বারই পারস্পরিক অবিশ্বাসের শিকারে পরিণত হয়েছে।

আর সে কারণেই এক বছর আগে আমি কায়রো গিয়েছিলাম এবং পারস্পরিক স্বার্থ এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা’র উপর ভিত্তি ক’রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মুসলিম সম্প্রদায়গুলির মধ্যে একটি নব-সুচনার ডাক দিয়েছিলাম। আমি জানতাম যে এই অন্তর্দৃষ্টি পূর্ণতা পাবেনা একটি মাত্র বছরেই, এমনকি বেশ কয়েক বছরেও। কিন্তু আমি জানতাম আমাদের শুরু করতে হবে এবং সেটা পূরণ করবার জন্য আমাদের সকলেরই দায়িত্ব রয়েছে।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে,আমি এটা সুনিশ্চিত করতে কাজ করেছি যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরেকবার তার দায়িত্বগুলি পূরণ করবে, বিশেষ ক’রে যখন এটা নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক বিষয়গুলিতে এসে দাঁড়ায় তখন প্রায়শই সেটি একটি উত্তেজনার উৎস হ’য়ে পড়ে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দায়িত্বপূর্ণভাবে শেষ করছে ইরাক যুদ্ধের, এবং আমরা ইরাকের জনগনের সাথে অংশীদার হবো তাদের দীর্ঘ মেয়াদী সমৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা’র জন্য। আফগানিস্থানে, পাকিস্থানে এবং তা ছাড়িয়ে, আমরা নূতন অংশীদারীত্ব গড়ে তুলছি সহিংস চরমপন্থীদের বিচ্ছিন্ন করতে, তবে তার সাথে সাথে দূর্ণীতি’র বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এবং উন্নয়নকে লালন করতে যা জীবন ও সম্প্রদায়ের উন্নতি বিধান করবে।

আমি আজরাতে এটি আবার বলছিঃ অনিবার্য অসুবিধা থাকা সত্বেও, যতদিন আমি প্রেসিডেন্ট হিসেবে আছি,আমাদের দুই-রাষ্ট্র সমাধানের পথ যা কি-না সুনিশ্চিত করবে ইসরাইল এবং প্যালেষ্টাইন উভয়েরই অধিকার এবং নিরপত্তার সেটির পশ্চাদ্ধাবন করা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কখনোই পিছু হটবেনা।(তুমুল করতালি) সেই সাথে সারা পৃথিবী জুড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহতভাবে দাঁড়াবে তাদের সাথে যারা চায় সুবিচার এবং অগ্রগতি এবং মানবাধিকার এবং মানুষের মর্যাদা।

তবে যদিও আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অঙ্গীকারাবদ্ধ করছি এইসব নিরাপত্তা এবং রাজনৈতিক উদ্বেগের বিষয়গুলি মোকাবেলার প্রতি,তবে কায়রো’তে আমি এটাও পরিস্কার ক’রে দিয়েছিলাম যে আমাদের অন্য আরো কিছুর দরকার – একে অন্যকে শুনবার এবং একে অন্যের কাছ থেকে শিখবার, একে অন্যকে সম্মান করবার একটি অব্যাহত প্রচেষ্টার। তাই আমি অঙ্গীকার করছি একটি নূতন অংশীদারিত্ব গড়ে তুলবার, শুধু সরকারগুলির মধ্যেই নয়, বরং জনগনের সাথেও সেইসব বিষয় নিয়ে যা নিত্যদিন বেশি ক’রেই তাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ হ’য়ে ওঠে – আপনাদের জীবনেও।

তখন, অনেকই প্রশ্ন তুলেছিলেন এটা করা সম্ভব কি-না। তা সত্বেও বিগত বছর পেরিয়ে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হাত বাড়িয়ে দিয়েছে এবং শুনছে। আমরা আন্তঃধর্মবিশ্বাস সংলাপে যোগ দিয়েছি এবং টাউন হল, গোলটেবিল এবং শুনবার অধিবেশনের আয়োজন করেছি সারা পৃথিবীর হাজার হাজার মানুষের সাথে, আপনাদের অনেকেই তাতে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।তাই অন্য অনেকের মতই, আপনারা প্রতিদানে আপনাদের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, প্রত্যেকেই নিজের নিজের মত ক’রে, উদ্যোক্তা ও শিক্ষাবিদ হিসেবে, ধর্মীয় এবং বিজ্ঞানের নেতা হিসেবে।

আমাকে বলতেই হবে, সবচাইতে প্রবর্তনামুলক সাড়াটি এসেছে কুয়েতের ড.নাইফ আল্-মুতাউয়া'র কাছ থেকে, যিনি আমাদের সাথে আজ রাতে যোগ দিয়েছেন এখানে। কোথায় ড.মুতাউয়া? (করতালি)।অসংখ্য তরুণের কল্পনাশিক্তিকে অধিকার ক’রে নিয়েছে তাঁর হাস্যরসাত্মক বইগুলির নায়ক চমৎকারসব বীরপুরুষেরা যারা ইসলামের শিক্ষা ও সহিষ্ণুতার প্রতিমুর্তি। কায়রো’তে আমার ভাষণের পর,তাঁরও ছিল একই রকমের চিন্তা-ভাবনা। ফলে তাঁর হাস্যরসাত্মক বইগুলিতে, সুপারম্যান এবং ব্যাট্ম্যান তাদের মুসলমান প্রতিপক্ষদের দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়।(হাসি) আর আমি শুনেছি যে তারা বেশ অগ্রগতিও সাধন করেছে। (হাসি) নিশ্চিতরুপেই।

একে অন্যকে শুনবার মধ্য দিয়ে আমরা সক্ষম হয়েছি একে অন্যের অংশীদার হওয়ার।আমরা শিক্ষা বিনিময়ের প্রসার ঘটিয়েছি, কারণ জ্ঞান হচ্ছে একুশ শতকের প্রচলন। আমাদের বিশিষ্ট বিজ্ঞান দূতেরা ভ্রমণ করছেন আপনাদের বেশ কিছু দেশে, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতার ক্ষেত্রে সম্ভাব্যতার পন্থা খুঁজে দেখছেন তাঁরা।

আমরা এগিয়ে যাচ্ছি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নিয়ে, আমাদের অংশীদার ইসলামিক সম্মেলন সংস্থা’কে সাথে নিয়ে (অর্গানাইজেশন অব্ ইসলামিক কনফারেন্স),পোলিও’কে সমুলে উৎপাটন করার জন্য। ও আই সি’র সাথে আমাদের বিস্তৃততর জড়িত হবার এটি হচ্ছে শুধুই একটি অংশ মাত্র, আমার বিশেষ দূত রাশাদ হুসেইনের নেতৃত্বে এটি হচ্ছে,যিনি আজরাতে এখানে আমাদের সাথে যোগ দিয়েছেন। কোথায় রাশাদ? (করতালি)

এবং আমরা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য অংশিদারিত্ব করছি। সরকারি পর্যায়ে, আমি উল্লেখ করতে চাই যে জি২০’কে বিশ্বব্যপী অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নেতৃত্বের স্থানে স্থাপন করাতে, টেবিলে আরও কন্ঠ যোগ হয়েছে – এতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তুরস্ক, সৌদি-আরব, ভারত এবং ইন্দোনিশিয়া। এবং আজ এখানে, যুক্তরাষ্ট্র এবং সমগ্র বিশ্বের মুসলমান সম্প্রদায়ের ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দ, প্রতিষ্ঠান সমূহ এবং উদ্যোক্তাদের মধ্যে বন্ধন গভীর করার জন্য আমরা কায়রোতে দেয়া আমর প্রতিশ্রুতিটি পূরণ করছি।

এখন, আমি জানি কেউ কেউ জিজ্ঞেস করেছে -- আমরা যখন এত নিরাপত্তামূলক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি, তখন উদ্যোক্তাদের নিয়ে এই শীর্ষ সম্মেলন কেন? এর উত্তর খুব সহজ।

উদ্যোক্তা - কারণ আপনারা আমাদেরকে বলেছিলেন যে এটা একটি বিষয়, যেখানে আমরা একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পারি; যেখানে আমরা আমেরিকানরা আমাদের অভিজ্ঞতাগুলি ভাগা ভাগি করতে পারি, যা আবিষ্কারকারী এবং নূতন প্রবর্তকদের ক্ষমতা বর্ধন করবে; যেখানে নর এবং নারীরা তাদের লালিত স্বপ্নের জন্য একটি সুযোগ নিতে পারে -- একটি ধারণা যেটা শুরু হবে রান্না ঘরের টেবিলের ধার থেকে কিংবা গ্যরাজ থেকে, এবং সেটাকে একটি নূতন ব্যবসায় রূপ দিতে পারে, এমনকি সেটাকে নূতন শিল্পে প্রবর্তন করতে পারে, যা কিনা এই বিশ্বকেও বদলে দিতে পারে।

উদ্যেক্তা – কারণ সমগ্র ইতিহাসে দেখা যায় যে, মানুষকে দারিদ্রতা থেকে উঠিয়ে আনতে সুযোগ তৈরি করতে এই পর্যন্ত জানামতে বাজারই ছিল সবচেয়ে বড় চালিকাশক্তি।

উদ্যেক্তা -- কারণ এটা আমাদের পরস্পরের অর্থনৈতিক স্বার্থে। যুক্তরাষ্ট্র এবং মুসলমান প্রধান দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য বেড়েছে। কিন্তু এই সব বাণিজ্যগুলো, একত্রে,শুধুমাত্র আমাদের সাথে একটি দেশের বাণিজ্যের সমান হয় -- মেক্সিকো। সুতরাং এই ক্ষেত্রে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমাদের সকল দেশে এই সুযোগ এবং সমৃদ্ধিকে লালন করার জন্য আমাদের এক সংগে অনেক কিছু করার আছে।

এবং সামাজিক উদ্যোগ– কারণ, আমি যেরকম শিকাগোতে সম্প্রদায়ের সংগঠক হিসাবে শিখেছি যে, প্রকৃত পরিবর্তন আসে নিচ থেকে উপরে, সূচনা হয় মাঠ পর্যায় থেকে, সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করছে এরকম একজন ব্যক্তির স্বপ্ন এবং নিষ্ঠা থেকে। এবং সেজন্যই আজ আমরা এখানে। আমাদের কাছে আছে জেরী ইয়াং, যে ইয়াহু’র সঙ্গে কিভাবে যোগাযোগ করতে হয় তার রুপান্তর সাধন করেছে। জেরী কি এখানে আছে? কোথায় সে? আগামীকাল সে এখানে আসবে। সেই সাথে থাকবে উদ্যোক্তারা যারা খুলেছে সাইবার্ ক্যাফে এবং ইন্টারনেটে আলোচনা ও উন্নয়নের নূতন মঞ্চ। একত্রে,আপনারা প্রযুক্তিকে অবারিত করতে পারেন যা কি-না একবিংশ শতাব্দি’র রুপ দিতে সাহায্য করবে।

আমাদের আছে ডঃ ইব্রাহিমের মত মানুষের সফলতা, যার সাথে আমি পূর্বে সাক্ষাৎ করেছিলাম, সে একটি টেলিযোগাযোগের সম্রাজ্য গড়ে তুলেছে, যা সমগ্র আফ্রিকা্র মানূষকে শক্তিশালী করেছে। এবং আমাদের কাছে উদ্দীপিত উদ্যোক্তা আছে যারা তাদের ব্যবসার সমৃদ্ধির দিকে তাকিয়ে আছে এবং তারা চায় নূতন কর্মচারী নিয়োগ দিতে। সম্মিলিতভাবে আপনারা মূলধণ পাওয়ার বিষয়টি মোকাবেলা করতে পারেন। আমাদের কাছে কাতারের শাইখা হানাদির মত একজন অগ্রপথিক আছে, সেই সাথে আছে ওয়াহেদ আল টাউইল, যার সাথে আমার আগেই সাক্ষাৎ হয়েছিল – পশ্চিম তীর থেকে আসা ২০ বছরের এক জন ছাত্র যে পেলেষ্টাইনের যুবকদের জন্য চিত্ত বিনোদনের কেন্দ্র নির্মান করতে চায়। সুতরাং সম্মিলিতভাবে অসীম কর্মদক্ষতা দিয়ে তারা নারী উদ্যোক্তাদের প্রতিনিধিত্ব করে এবং, আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয়, যে দেশগুলি তাদের নারীদেরকে শিক্ষিত করবে এবং ক্ষমতায়ন করবে সেই দেশগুলোই তাদের সমৃদ্ধির সম্ভাবনা অনেক বেশী উজ্জল করবে। আমি সেটা বিশ্বাস করি (করতালি)

আমাদের ক্রিস হিউজেসের মত অগ্রদূত আছে, যে ফেইসবুক সৃষ্টি করেছিল, সেই সাথে গড়ে তুলেছিল অনলাইন সম্প্রদায়, যেটার দ্বারা আমার প্রসিডেণ্ট নির্বাচনী প্রচারনার সময় অনেক যুবক জনগোষ্ঠিকে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছিল – আমার বরাকওবামা.কম।(হাঁসি)আমাদের এখানে জর্ডানের সোরায়া সালটির মত মানুষ আছে, যারা যুবক যুবতীদেরকে ক্ষমতায়ন করছে, যারা আগামী দিনের নেতৃত্ব নিবে।(করতালি)। সম্মিলিতভাবে, সমগ্র বিশ্বে তারা যুবকদের জন্য অপার সম্ভাবনা এবং প্রত্যাশা উপস্থাপন করে।

এবং আমাদের মাঝে আছে ট্রি মামপুনির মত উদ্যোক্তা, যে ইন্দোনেশীয়ার গ্রাম্য জনগোষ্ঠিকে সাহয্য করেছিল – (করতালি) সে জল-বিদ্যুৎ শক্তি থেকে বিদ্যুৎ সংগ্রহ করে এবং অর্থ আয় করে। এবং, আন্ডেইসি ফরিদ, আফগানিস্তান থেকে আসা একজন অসাধারণ নারী, যে বড় ধরণের ঝুঁকি নিয়ে পরবর্তী প্রজন্মকে শিক্ষিত করেছিল, একেক বার একটি করে মেয়েকে নিয়ে কাজ করে।(করতালি) সম্মিলিতভাবে, তারা ভবিষ্যতের পথের নির্দেশনা দেয়, যেখানে অগ্রগতিটি ভাগা ভাগি করা হয় এবং সমৃদ্ধি টিকে থাকার মত হয়।

এবং আমি ঘটনাক্রমে ডঃ ইউনুসকেও দেখতে পাচ্ছি - এটা খুব ভালো যে আপনার সঙ্গে আবার দেখা হোল। আমার মনে হয় গ্রামীণ ব্যাংকের ইতিহাস এবং দরিদ্রের মধ্যে দরিদ্রতম উদ্যোক্তাদেরকে অর্থনৈতিক উপায়ে এটার বড় বড় কাজগুলোর কথা অনেকেরই জানা, এটা প্রথমে শুরু হয়েছিল সমগ্র দক্ষিন এশিয়ায়, এবং এখন সমগ্র বিশ্বে।

সুতরাং এটা সেই বিশাল সম্ভাবনা, যার আপনি প্রতিনিধিত্ব করেন, সম্মিলিতভাবে সে ভবিষৎটিকে আমরা করায়ত্ব করতে পারি। সুতরাং আজ রাতে আমি গর্বের সাথে ধারাবাহিক কতগুলো নূতন অংশিদারিত্ব এবং উদ্যেগের ঘোষনা দিচ্ছি, যেগুলো শুধু সেটাই করবে।

যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েকটি বিনিময় কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছে। আমরা মুসলমান সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশগুলো থেকে ব্যবসা এবং সামাজিক উদ্যোক্তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে আনবো এবং তাদের প্রতিপক্ষদের আপনাদের দেশ থেকে শেখার জন্য পাঠাবো।(করতালি) সুতরাং প্রযুক্তির ক্ষেত্রের নারীরা, শিক্ষানবিশী করার জন্য এবং পেশাগত উন্নতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আসার সুযোগ পাবে। এবং যেহেতু নূতন প্রবর্তনটি উদ্যোগের কেন্দ্রবিন্দু, আমরা বিজ্ঞানের শিক্ষকদের জন্য নূতন বিনিময় কর্মসূচি সৃষ্টি করছি।

আমরা একটি নূতন অংশিদারিত্ব গড়ে তুলবার জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি যেখানে সিলিকন ভ্যালি থেকে আসা উচ্চ-প্রযুক্তির নেতারা তাদের বিশেষ জ্ঞান ও দক্ষতা ভাগা ভাগি করবেন-- ঝুঁকিপূর্ন তহবিল সম্পর্কে, বিজ্ঞ পরামর্শক হ’য়ে, এবং প্রযুক্তি লালনকারী হিসেবে মধ্যপ্রাচ্য, তুরষ্ক এবং দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার সাথে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে।

আজ রাতে, আমি আপনাদেরকে জানাতে পারি যে বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি এবং নব প্রবর্তনের তহবিল যেটা আমি কায়রোতে ঘোষনা দিয়েছিলাম সেটা বিনিয়োগের জন্য ২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশী জোগান দিতে সক্ষম। এটা বেসরকারি মূলধন, এবং এটা টেলিযোগাযোগ, স্বাস্থসেবা, শিক্ষা, এবং অবকাঠামোগত খাতে আমদের এই দেশগুলোর মানুষের জন্য সুযোগের দ্বার উন্মোচন করবে।

এবং সবশেষে, আমি গর্বিত যে আমরা এই শীর্ষ বৈঠকে আমি যেগুলোর কথা উল্লেখ করলাম শুধুমাত্র এই কর্মসূচিগুলোই সৃষ্ট করলাম তা-ই নয় বরং এটা এখানেই থেমে থাকবেনা। এই সপ্তাহে সমগ্র ওয়াশিংটনে আনুষ্ঠানিকতাগুলোর সাথে, এবং সমগ্র বিশ্বজুড়ে আসন্ন আঞ্চলিক সম্মেলনগুলোর মাধ্যমে - আমরা একত্রে, উদ্যোক্তাদের জন্য একটি নূতন যুগ উজ্জল করে দিয়েছি।

আজ রাতে, একথা ঘোষনা করতে আমি প্রীত যে, প্রধানমন্ত্রী আর্ডোগান আগামী বছর উদ্যোক্তাদের এই শীর্ষ সম্মেলনটি তুরস্কে অনুষ্ঠিত করার জন্য স্বাগতিক হতে রাজি হয়েছেন।(করতলি) এবং সেজন্য আমি প্রধানমন্ত্রীকে, তুরস্কের জনগনকে এবং বেসরকারি খাতের নেতৃবৃন্দকে আমরা এই সপ্তাহে যে সুযোগ উন্মোচন করবো তার গতিধারাটি বজায় রাখার যাত্রায় সাহয্য করার জন্য ধন্যবাদ জানাই।

অতএব আমি যা বলেছি, কেউ কেউ হয়ত আছেন যারা প্রশ্ন করেছেন যে, এই নব সূচনাগুলো আমরা নিষ্ঠার সাথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব কি না। এই বিশ্বে আমরা যে পরিমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করি -- আসুন আমরা এটাকে মোকাবেলা করি, অনেক দুঃসংবাদ যা প্রতি দিন টেলিভিশনের মাধ্যমে আসে – মাঝে মাঝে এটা বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে পরে যে সাধারণ জনগনের সদিচ্ছা এবং সৎ কাজগুলো হাতের দায়িত্বগুলোর জন্য মোটেই যথেষ্ট নয়। কিন্তু, যারা মানুষ মানুষের সাথে অংশিদারিত্ব করে আমাদের বিশ্বকে পুনরায় গড়তে পারবে কিনা, এই প্রশ্নে এখনও যারা সন্দেহ করছেন, তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলি, নর এবং নারী যারা আজ এখানে আছে তাদের দিকে তাকান।

দৃষ্টি দিন সেই অধ্যপকের দিকে যিনি একটি ধারণা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন- ক্ষুদ্র ঋণ – যেটা তার সমগ্র দেশের গ্রামের দরিদ্রদেরকে সক্ষমতা দিয়েছে, বিশেষ করে নারী এবং শিশুদেরকে। সেটা হচ্ছে ডঃ ইউনুসের একটি শক্তিশালী উদাহরণ।

লক্ষ্য করুণ মোহাম্মদ যখন তার চিন্তা ধারাটি পাকিস্তানের একজন নারীর সাথে ভাগা ভাগি করলো, যে সেদিন থেকে শত শত, হাজার হাজার পরিবার এবং শিশুকে একটি প্রতিষ্ঠান যার আবিধানিক নাম “অলৌকিক ঘটনা” সেই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দারিদ্রতা থেকে মুক্ত করে এনেছে। সেটাই হচ্ছে রোশানে জাফরের উদাহরণ।(করতালি)

লক্ষ্য করুণ কি ঘটেছে যখন এই ধারণাটি সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পরলো – এতে আমার মায়ের মত মানুষও অন্তর্ভুক্ত ছিল, যে কিনা পাকিস্তান থেকে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত গ্রামের দরিদ্রদেরকে নিয়ে কাজ করেছিল। সেই সহজ ধারণাটি, যা শুধু একজন একক ব্যক্তিকে দিয়ে শুরু হয়েছিল, এখন তা লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন ধারাকে বদলে দিয়েছে।

অতএব, হ্যাঁ, এই নব সূচনা যেটা আমরা চাই এটা শুধু সম্ভবই নয়, এটা ইতিমধ্যেই শুরুও হয়েছে। এটার উপস্থিতি আপনাদের সবার মধ্যে, এবং সারা বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের মধ্যে, যারা, আমারা যা বিশ্বাস করি, তারাও তা বিশ্বাস করে, এই ভবিষ্যৎ তাদের জন্য নয় যারা আমাদেরকে বিভক্ত করে, তাদের জন্য যারা একতা বদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসে; তাদের জন্য নয় যারা ধ্বংস করে, কিন্তু তাদের জন্য যারা গড়ে; তাদের জন্য নয়; যারা অতীতের ফাঁদে পড়ে আছে, কিন্তু তাদের জন্য, যারা আমাদের মত, ভবিষ্যতে জাতি-বর্ণ ও ধর্ম নির্বিশেষে, সব মানুষের জীবনের জন্য অগ্রগতি, আত্ম মর্যাদা এবং ন্যায় বিচারের ব্যপারে আত্মবিশ্বাসী ও প্রত্যয়ী।

এটা একটি অপার সম্ভাবনা, যেটা আমরা এই সম্মেলনে উন্মোচন করবো বলে আশা করছি, এবং আশা করছি শুধু এই সপ্তাহেই নয় বরং আগত মাস এবং বছরগুলোতেও তা চালিয়ে যাব। আমি কৃতজ্ঞ যে আপনারা সবাই এতে অংশগ্রহণ করেছেন। ঈশ্বর আপনাদের সবাইকে আশির্বাদ করুণ এবং ঈশ্বর আপনাদের উপর শান্তি বর্ষিত করুণ। অপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ধন্যবাদ (করতালি)

LEGAL DECLAIMER

The content available under the terms of GNU Free Documentation License and Creative Commons Attribution-Noncommercial-No Derivative Works 2.5 India License. We're not responsible for any type of damages occured, while using of iEncyclopedia's content. For commercial content licensing, do follow the instructions in the Content Licensing Section to gain the commercial content license.

* * All text is available under the terms of the GNU Free Documentation License.

© iEncyclopedia Society, 2013.